গ্রামের মানুষ কিভাবে স্বাস্থ্য ধরে রাখে _“secret tips”

গ্রামের মানুষ এত কম অসুস্থ হয় কেন জানেন? তাদের গোপন সিক্রেট হেলথ টিপস জানলে আপনি অবাক হবেন। আজকেএই আর্টিকেলে আমরা জানবো গ্রামের মানুষের স্বাস্থ্য ধরে রাখার সিক্রেট টিপস।


আমাদের দেশে যখনই স্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ুর কথা আছে, তখন শহরের তুলনায় গ্রামের মানুষের একটু আলাদা জায়গায় রাখা হয়। এর পেছনের কারণ হচ্ছে গ্রামের মানুষের সাধারণত কম অসুস্থ হয়, তাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী হয়, এবং তারা দীর্ঘদিন সংক্রিয় জীবন যাপন করতে পারে। শহরের মানুষের যেখানে নানান ওষুধ, ভিটামিন বা জিমেরওপর নির্ভর করে সুস্থ থাকার চেষ্টা করে, সেখানে গ্রামের মানুষ স্বাভাবিক জীবন যাপন ও প্রাকৃতিক অভ্যাসের মাধ্যমে নিজেদের স্বাস্থ্য ধরে রাখে।

পেজ সূচিপত্রঃগ্রামে মানুষ কীভাবে স্বাস্থ্য ধরে রাখে – “secret tips”

প্রাকৃতিক উপায়ে রান্নার পদ্ধতি

বর্তমান যুগে আমরা যেসব খাই, তার বেশির ভাগই প্রক্রিয়াজাত, অতিরিক্ত মসলা, কৃত্রিম রং, সংরক্ষণকারী ও রাসায়নিক মিশ্রণে ভরা। শহরের মানুষ হয়তো সময় বাঁচাতে কিংবা সাদ বাড়াতে ফাস্টফুড, ফ্রোজেন খাবার বা রেডিমেড মসলা উপনির্ভর করছে। অথচ এসব খাবার আমাদের শারীরিকভাবে শরীরের ভেতর থেকে নষ্ট করে দিচ্ছে-পাকস্থলীর সমস্যা, ডায়াবেটি, ক্যান্সারের ঝুঁক, হরমোনের ভারসাম্যহীনতার থেকে শুরু করে নানা ধরনের জটিলতা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে কিন্তু ভেবে দেখুন একবার আমাদের দাদা-দাদি নানা-নানী দের সময়ে তো এসব কিছু ছিল না। তারা রান্না করতেন সম্পূর্ণ প্রাকৃতিকভাবে, ব্যবহার করতেন দেশীয় মশলা, মাটি চুলা, কাদার হাঁড়্‌ পাটের ছাঁকনি, পাটালি গুড্‌ সরিষার তেল আর খাটি লবণ। সে খাবারগুলো শুধু সুস্বাদু ছিল না, বরং ছিল নিরাময়কারী। গ্রামের মানুষ এখনো ও সেই প্রাকৃতিক রান্না পদ্ধতি ধরে রেখেছে-যেখানে খাবারের প্রতিটি উপকরণ প্রকৃতির কাছ থেকে সরাসরি নেওয়া, সংরক্ষণ করা হয়। সহজ ভাবে বলতে রান্না করা হয় যতটা সম্ভব রাসায়নিক মুক্ত উপায়ে। তাদের শাক সবজি গ্রামের মানুষ মাঠ থেকে তুলে এনে দুপুরে রান্না করে। তাজা মাছ সরাসরি পুকুর থেকে তুলে রান্না করে। দেশি মুরগি বা হাস তারা খেয়ে থাকেন। ফলে খাবার থেকে ভেজালমুক্ত সাদও পুষ্টিগুণের সম্পন্ন থাকে। প্রাকৃতিক রান্না পদ্ধতি শুধু একটি অভ্যাস নয়, বরং এটি একটি জীবনযাত্রা। এখানে নেই ভেজাল, নেই রাসায়নি, নেই কৃত্রিম স্বাদ, আছে শুধু প্রকৃতি দেওয়া আসল পুষ্টি আর নির্ভুল নির্ভেজাল স্বাদ। যদি আমরা এ পদ্ধতিতে জীবন ফিরিয়ে আনতে পারি, তবে শুধু শরীর নয্‌ মনও থাকবে শান্ত অসুস্থ। আজ যখন বিশ্বের স্বাস্থ্য সংকটের মুখোমুখি, তখন গ্রামের সেই সতে্‌ প্রাকৃতিক রান্নার পদ্ধতি হতে পারে আমাদের সুস্থ জীবনের আসল "secret tips"।

সামাজিক ও পারিবারিক বন্ধন

আমরা মানুষ, আর আমরা মাত্র সামাজিক প্রাণী। সমাজ ছাড়া মানুষ একা বাঁচতে পারে না, পরিবার ছাড়াও মানুষ কখনো পূর্ণতা পায় না। শহরের ব্যস্ত জীবনে কিংবা গ্রামীণ শান্ত পরিবেশে-যেখানে থাকি না কেন, আমাদের সুখ-দুঃখ ,হাসি কান্ন, সাফল্য-ব্যর্থতার সবকিছুই সামাজিক ও পারিবারিক বন্ধনের সঙ্গে গভীরভাবে জড়িত আছে। কিন্তু দুঃখজনকভাবে আজকের এই আধুনিক দুনিয়ায় যখন সবাই, মোবাইল ইন্টারনেট আর ভার্চুয়াল দুনিয়ায় ব্যস্ত, তখন আসল সম্পর্কগুলো ধীরে ধীরে দুর্বল হয়ে যাচ্ছে। বন্ধুত্ব, আত্মীয়ত্‌ প্রতিবেশী সুলভ সহযোগিতা কিংবা পরিবারের ভেতরে ভালোবাসা-সবকিছুই যেন যান্ত্রিক জীবনের চাপে মূল্যায়ন হয়ে মুল্লান হয়ে পড়ছে। মানুষের শান্তি ও নিরাপত্তা পরিবার থাকলে আমরা নিরাপদ বোধ করি। আমাদের বন্ধন থাকলে একাকীত্ব আমাদের কাবু করতে পারে ... বিপদে পড়ে যদি সাহায্য হাত না মেলে তবে জীবন কতটা অসহায় হতে পারে-তা আমরা সবাই জানি পরিবার ও সমাজ মিলে তৈরি করে একটি স্থিতিশীল জীবন ব্যবস্থা, যা মানুষকে সঠিক পথে চালিত করে। অসুস্থ হলে সবাই মিলে তাকে ডাক্তার দেখাতে নিয়ে যায়। শহরের বাসায় বিয়ে বা অনুষ্ঠান হলে আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধু-বান্ধব যোগ দেয় আনন্দ করে নে... কোন বিপদে পড়লে পাশের মানুষটি প্রথমে সাহায্য হাত বাড়িয়ে দেয়। এ বন্ধুগুলো আমাদের মন কুড়িয়ে দেয়-আমরা একা নয়, আমরা সবাই একটি পরিবার মত জড়িয়ে আছি। পারিবারিক বন্ধনের সৌন্দর্য হলো পরিবারের শুধু রক্তের সম্পর্ক নয়, বরং এটি হলো অনুভূতির সম্পর্ক। বাবা-মা সন্তানের জন্য, সন্তান বাবা-মায়ের জন্য, ভাই বোন একে অপরের জন্য সব সময় চেষ্টা করে। একসাথে খাওয়া আনন্দ, ঈদ বা পূজার মত উৎসবের আনন্দ ভাগাভাগি কর্‌ দুঃখের পাশে দাঁড়ানো-এসব পারিবারিক বন্ধন সত্যিকারে সৌন্দর্য সামাজিক ও পারিবারিক বন্ধন শুধু একটি সম্পর্ক নয় এটি মানুষের জীবনে আসল ভিত্তি। টাকা পয়সা, চাকরি-বিলাসিতা-এসব হয়ত জীবনে আসে যায়, কিন্তু পরিবার ও সমাজ ছাড়া মানুষের জীবনে কখনোই পূর্ণ হয় না। সুখী জীবন চাইলে, মানসিক শান্তি চাইল্‌ সুস্থ সমাজ চাইলে আমাদের অবশ্যই সামাজিক ও পারিবারিক বন্ধনকে গুরুত্ব দিতে হবে। আজ আমরা ক্রমশ একা হয়ে যাচ্ছি তখন আমাদের উচিত সম্পর্কে আবার নতুন করে শক্ত করে তোলা। মনে রাখতে হবে-মানুষের আসল শক্তি একা নয়, বরং একসাথে থাকার মধ্যে।

আরও পড়ুনঃ কিভাবে ফিরে টাকা ইনকাম করা যায়?

গ্রামীণ খাদ্য অভ্যাস-সুস্থ জীবন

আমরা আজকাল শহরে বসে নানা রকম খাবার ভিড়ে বাঁচে-ফাস্টফুড, প্রক্রিয়াজাত খাবার কলড্রিং্‌ অতিরিক্ত মশলা অতিলক্ত যুক্ত খাবার। যা আধুনিক জীবনের ব্যস্ততার হুড়োহুড়ি করে খাওয়া যেন আমাদের অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। অথচ এ খাবারগুলো যতটা সুস্বাদু মনে হয়, ভেতরে শরীরকে ততটা অস্ত্র করে তোলে। এসব খাওয়ার ফলে বিভিন্ন রোগ আক্রান্ত হয় যেমনঃ ডায়াবেটিস, গ্যাসস্টি্‌ ,স্তলত্‌ উচ্চ রক্তচাপ ক্যান্সারের ঝুঁকি-এসব রোগের মূল রয়েছে অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস। অন্যদিকে গ্রামে গেলে আমরা একেবারে ভিন্ন চিত্র দেখতে , পাই। গ্রামীণ মানুষের খাদ্যভাস অনেকটাই  প্রাকৃতিক, সতেজ ও পুষ্টিকর সম্পন্ন। তাদের দৈন্যের খাবারে থাকে মৌসুমী শাকসবজি, দেশি মা্‌ ডাল, দুধ , ডিম, ফল ও দেশীয় উপায় রান্না করা পুষ্টিকর পদ। এখানে নেই প্রক্রিয়াজাত খাবারের ভিড়, নেই কৃত্রিম রং, নেই ভেজাল সস কিংবা কোল্ড্রিংসের নির্ভরতা। এই কারণে গ্রামীণ মানুষ তুলনামূলকভাবে সুস্থ, কর্মক্ষম ও দীর্ঘজীবী হয়ে থাকে গ্রামের মানুষ সাধারণত মৌসুমী খাবারের উপর নির্ভর করে গ্রীষ্মকালে আম, কাঁঠাল লিচ্‌ শাকসবজি শীতে বাঁধাকপি, ফুলকপ, মূল, গাজ, ইত্যাদি তারা জমি থেকে সংগ্রহ করে খায়। ফলে খাবার থেকে তারা ভেজালমুক্ত স্বাদ ও পুষ্টিকর আসল স্বাদ গ্রহণ করে থাকে। গ্রামের পুকুরে, বিলে খালে থেকে ধরা টাটকা মাছ খাওয়ার প্রচলন আছে। ইলিশ, টেংরা সিং কই কিংবা ছোট মাছ-এসব মাছের প্রচুর প্রোটিন ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন থাকে। এছাড়াও হাঁস মুরগির ডিম গরু ছাগল ইত্যাদি থেকে দুধ বা মাংস খাদ্য তালিকায় নিয়মিত থাকে। গ্রামের মানুষের সাধারণত রান্নায় অতিরিক্ত তেল বা মসলা দেওয়া হয় না। তারা সরিষার তেল, নারকেলের দুধ কিংবা ঘি ব্যবহার করে খাবারের স্বাদ বাড়ায্‌, যার শরীরের জন্য উপকারী চর্বি হিসাবে কাজ করে। গ্রামের মানুষের আচার, শুটকি গুড়া মাছ বা শুকানো খাবার সংরক্ষণ করে প্রাকৃতিক উপায়। গ্রামের মানুষ সাধারণত সকাল দুপুর বিকেল রাত নিয়মিত সময় খাবার খায়।

খাদ্যই ওষুধ-এ কথাটি গ্রামীণ খাদ্য বাসের সঙ্গে সবচেয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে আছে। প্রাকৃতিক দেওয়া মৌসুমী ফলমূল, দেশি মা্‌ শাকসবজি আরও সহজ রান্নায় গ্রামীণ মানুষকে সুস্থ শক্তিশালী করে তোলে। যদি আমরা আধুনিক জীবন থেকে এই খাদ্য বাসের কিছু অংশ গ্রহণ করতে পারি, তবে আমরা বাঁচতে পারব শরীর ও মন দুটি সতেজ থাকবে। আজকের দুনিয়ায় যেখানে ভেজাল আর প্রক্রিয়াজাত খাবারের দৈরত্ন, সেখানে গ্রামীণ খাদ্য ভাস হতে পারে সুস্থ জীবনের সত্যিকারের গোপন রহস্য।

গ্রামীণ মানুষের স্বাস্থ্য রক্ষার উপায়

বর্তমান সময় মানুষ যতটা আধুনিক হচ্ছে, ততই নানা রোগের জর্জরিত হচ্ছে। ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচা্‌ গ্যাসটিক , মানসিক চাপ-এসব রোগ যেন আমাদের প্রতিদিনের সঙ্গী হয়ে দাঁড়িয়েছে। শহরে আমরা যতই ওষুধ, ডাক্তার আর দামি চিকিৎসার পেছনে দৌড়ায্‌ গ্রামের সহজ সরল মানুষ ততটা স্বাভাবিকভাবে সুস্থ জীবন যাপন করে। রহস্যটা একটাই-প্রকৃতির সঙ্গে মিল রেখে জীবন যাপন। প্রকৃতি আমাদের দিয়েছে অসংখ্য উপহার-তাজা বাতাস খাটি পানি, ফলমূল, শাক সবজ্‌, সূর্যের আলো আরো শান্ত পরিবেশ। এসবকে কাজে লাগালেই আমরা খুব সহজে ওষুধের ওপর নির্ভর না করে সুস্থ থাকতে পারি। আসলেই প্রাকৃতিক স্বাস্থ্য রক্ষার উপায, হল এমন কিছু অভ্যা্‌, যেগুলো আমাদের শরীরে-মনকে ভেতর থেকে শক্তিশালী করে।

প্রাকৃতিক স্বাস্থ্য রক্ষার উপায় আসলে খুব জটিল কিছু নয়। বরং ভরে ওঠা , তাজ খাবার খাওয়া, খোলা বাতাসে হাঁটা ও ঘরোয়া চিকিৎসায় উপনির্ভর করা নিয়মিত ঘুম ও মানসিক শান্তি বজায় রাখা-এসব আমাদের সুস্থ জীবনের মূল চাবিকাঠি। আজকের দিনে আমরা যখন ওষুধের উপর অতিরিক্ত নির্ভরশীল হয়ে পড়েছি, তখন প্রকৃতির দিকে ফিরে যাওয়া ছাড়া সুস্থ থাকা আর কোন বিকল্প নেই তাই মনে রাখতে হবে সুস্থ জীবন চাইলে প্রকৃতির কাছে ফিরে যেতে হবে।

লোকজ চিকিৎসা ও ঘরোয়া উপায়

আজকাল যুগে যেখানে আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানে অগ্রগতি বিস্ময়কর, সেখানে এখানেও গ্রাম বাংলার মানুষ অনেক সময় ভরসা করে লোকের চিকিৎসা ও ঘরোয়া উপায় সহজ ভাবে, কম খরচ এবং সবচেয়ে বড় কথা হলো পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ায় নেই বললে চলে। আমাদের পূর্বপুরুষ ডাক্তার হাসপাতাল বা ওষুধের দোকান ছাড়াও বছরের পর বছর সুস্থ থেকেছেন। তাদের শক্তি ছিল প্রাকৃতিক কে কাজে লাগা... গ্রামীণ সমাজে প্রচলিত অনেক লোকের চিকিৎসা আজও কার্যকর। এগুলো রোগ সারায় না বরং শরীরের ভেতর থেকে শক্তিশালী করে তোলে লোগো চিকিৎসা হলো সেসব চিকিৎসা প্রকৃতিক ও সহজ উপায়, যা আমাদের দাদা-দাদি নানা-নানীর প্রজন্ম থেকে শিখিয়ে গেছেন ।এর মধ্যে কিছু হল গাছপালা ব্যবহা্‌, প্রাকৃতিক খাবারের গুনাগুনী কাজে লাগানো সহজ ব্যায়াম ও জীবনধারা মেনে চলা মনের প্রশান্তির রক্ষায় প্রার্থনা ও সামাজিক বন্ধন।

লোকজ চিকিৎসা ও ঘরোয়া উপায়ে আসলে শুধু চিকিৎসা নয়, এটি এক ধরনের স্বাস্থ্যকর জীবন ধরা। প্রকৃতির সঙ্গে মিল রেখে চলা খাদ্যের গুনাগুন কাজে লাগানো এবং মনের শান্তি বজায় রাখা-এসব আমাদের দেওর ভেতর থেকে শক্তিশালী করে তোলে। তাই আধুনিক চিকিৎসার প্রয়োজন অবশ্যই আছে, তবে প্রতিদিনের চিকিৎসা ও ঘরোয়া চিকিৎসা উপায়ে আমাদের জন্য হতে পারে সবচেয়ে নিরাপদ সমাধান।

ঘুম ও মাসিক স্বাস্থ্য সুস্থতা

আজকের ব্যস্ততার জীবনে আমরা সবাই চাই শান্ত মনের সাথে সুস্থ জীবন। কিন্তু সত্য হলো, মানুষের স্বাস্থ্য সবচেয়ে বড় ভিত্তি হচ্ছে ঘুম। ভালো ঘুম ছাড়া আমাদের শরীর ও মনের বিশ্রাম সম্পন্ন হয় না। আধুনিক গবেষণায় দেখা গেছে। প্রতিদিন নিয়মিত ঘুম এবং পর্যাপ্ত ঘুম মানসিক চাপ কমায়, মস্তিত্বকে সতেজ রাখে এবং মনকে সুখী রাখে। কিন্তু আজকের যুগে মোবাইল, সোশ্যাল মিডিয়া দুশ্চিন্তা আরও অগোছালো জীবন যাত্রা কারণে ঘুমের সময় অনেক সমস্যার মধ্যে দেখা দিচ্ছে। ফলে মানসিক স্বাস্থ্যের অবনতি হচ্ছে দিন দিন। তাই প্রয়োজনে কিছু কার্যকর ঘুম ও মানসিক স্বাস্থ্য যা আমাদের জীবনকে ভারসাম্যপূর্ণ ও সুখী করতে সাহায্য করবে। ঘুমের সময় নির্ধারণ করুন প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমানো ও জাগা শরীরের জৈবিক ঘড়িকে ঠিক রাখে। এর ফলে দূরত্ব ঘুম আসে এবং ঘুমও গভীর হয়। ঘুমের আগে মোবাইল ফোন বা স্কিন এড়িয়ে চলুন মোবাইল বা কম্পিউটার মস্তিষ্ককে জাগিয়ে রাখে তাই অন্তত 30 মিনিট আগে স্কিন থেকে দূরে থাক। নিয়মিত ঘুমের পরিবেশ সাজিয়ে নিন নরম আলো, শান্ত পরিবে্‌, পরিষ্কার বিছান্‌, এসব ঘুমকে আরামদায়ক করে তোলে রাতের বেলায় হালকা খাবার খান ভারি বা মসলা জাত খাবার রাতে খেলে হজমের সমস্যা হয্‌, ফলে ঘুম আসতে দেরি হয়। তাই রাতে খাবার হালকা রাখাই ভালো।রাতে ঘুমানোর আগে কফি বা চা খাবেন না এগুলো শরীরের ভেতরে নিকোটিন ঘুমের বড় শত্রু। এগুলো রাতে খাওয়া একদম উচিত নয়। ঘুমানোর আগে ৫-১০ মিনিট শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম বা প্রার্থনা করলে মন শান্ত হয় এবং ঘুম সহজে আসে। 

ঘুম মানুষের স্বাস্থ্য একে অপরের সাথে অঙ্গী আর ভাবে জড়িত। পর্যাপ্ত ও গভীর ঘুম মনের শান্তি আনে, জীবনে ভারসাম্য বজায় রাখে। আবার সুস্থ মানসিক অবস্থা ভালো ঘুম নিশ্চিত করে। তাই প্রতিদিন নিয়মিত ঘুমানো উচিত অযথা দুশ্চিন্তা কমানো এবং প্রাকৃতিক জীবনধারা অনুসরণ করাই হলো সুখী অসুস্থ জীবনের মূল চাবিকাঠি। ভালো ঘুম মানে সুস্থ মন, আর সুস্থ মন মানে সুখী জীবন। 

খালি পায়ে হাঁটার উপকারিতা 

আজকের আধুনিক জীবন যাপনের আমরা সব সময় জুতো, বা স্যান্ডেল চপ্পল পড়ে থাকি। মাঝে মাঝে খালি পায়ে হাটা আমাদের শরীর ও মনের জন্য অসাধারণ উপকারী হতে পারে? বিজ্ঞানীরা একে বলে গায়োডিং বা অর্থং।আর্থিং যখন আমরা খালি পায়ে মাটিতে হাঁটি, ঘাস, বা পানির স্পর্শে হাঁটি তখন প্রকৃতির সাথে শরীরের এক ধরনের ইলেকট্রিক্যাল ব্যালেন্স তৈরির হয়, যা আপনার স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত জরুরী।খালি পায়ে হাঁটুর বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা হলো :মানুষ পায়ে থাকা অসংখ্য এর পয়েন্ট। যখন আমরা খালি পায়ে মাটির সাথে সংযোগ স্থাপন করি তখন শরীরের ভেতরে ফ্রি রেডিকেল কমে যায়। রক্তের সঞ্চালন বৃদ্ধি পায়, মানসিক চাপ হ্রসপায়। খালি পায়ে হাঁটা হলে প্রকৃতির সাথে সরাসরি সংযোগ, যা শরীর ও মনকে ভারসাম্যপূর্ণ রক্ষা করে। খালি পায়ে হাঁটলে রক্ত সঞ্চালনে উন্নত করে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে, ঘুমের মান উন্নত করে,চোখ মস্তিষ্কের উপকারে আসে, শরীরের ভারসাম্য ভঙ্গি ঠিক রাখে, ব্যথা উপশম করে। ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গিতে খালি পায়ে হাঁটার উপকারিতা উল্লেখ আছে। নবী করিম (সা:)খালি পায়ে হাঁটার পরামর্শ দিতেন এবং বলতেন এতে অহংকার দূর হয়, বিনয় হওয়া এবং শরীর সুস্থ থাকে। 

খালি পায়ে হাঁটা হল প্রকৃতিক ওষুধ, যা বিনামূল্যে পাওয়া যায়। খালি পায়ে হাটা একটি সহজ কিন্তু অসাধারণ অভ্যাস। এটি শুধু শরীরকে সুস্থ রাখে না বরং মনকে প্রশান্ত করে।প্রতিদিন অল্প সময়ের জন্য হলেও যদি আমরা খালি পায়ে মাটির স্পর্শ নেই, তবে জীবন হবে আরও সুস্থ ও সুন্দর আনন্দময়। প্রকৃতি হল সর্বোত্তম চিকিৎসক, আর খালি পায়ে হাটা সেই প্রকৃতিক চিকিৎসার অন্যতম উপায়। 

বিশুদ্ধ বাতাসের উপকারিতা 

আজকের আধুনিক যুগে জীবন আমাদের প্রতিদিনই দূষিত বাতাসে শ্বাস নিচ্ছে। গাড়ির ধোঁয়া, শিল্প কারখানার গ্যাস, ধুলাবালি -সবকিছুই মিলে বাতাস এখন মানুষের সবচেয়ে বড় শত্রু পরিণত হচ্ছে। অথচ, বিশুদ্ধ বাতাস আমাদের শরীর ও মনের জন্য সবচেয়ে দরকারি উপাদান। প্রাকৃতির শ্বাস নেওয়া কেবল প্রাণের জন্য নয়, এতে শরীর, এবং মন আত্মার জন্য এক অমূল্য ওষুধ।বিশুদ্ধ বাতাস হল এমন বাতাস যা ক্ষতিকারক গ্যাস, ধোয়া, রাসায়নিক কণা ও অতিরিক্ত কার্বন ডাই অক্সাইড মুক্ত। প্রাকৃতিক পরিবেশ যেমন -সবুজ বন, নদীর ধার, পাহাড়, গ্রামীন খোলা মাঠ আমরা বিশুদ্ধ বাতাস পাই। বিশুদ্ধ অক্সিজেন সরবর ফলে আমাদের শরীরে পতিটি কোষ অক্সিজেন ওপর নির্ভরশীল। বিশুদ্ধ বাতাস ফুসফুস কে পরিষ্কার করে রক্তকে বিশুদ্ধ করে এবং শরীরকে শক্তিশালী করে। যারা প্রতিদিন সকালে খোলা মাঠে হাঁটেন, তাদের ফুসফুস শক্তিশালী হয় এবং হাঁপানিয় শ্বাসকষ্টে ঝুঁকি কমে যায়। এতে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে বিশুদ্ধ বাতাস শরীরের হিমেন সিস্টেমকে সংক্রিয় করে। এটি ব্যাকটেরিয়া ভাইরাস রোগ বিরুদ্ধে লড়াই করার এবং শরীরের ভেতর থেকে শক্তিশালী করে তোলে। ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গিতে বলা আছে মানুষ যেন প্রকৃতির কাছে সময় কাটায়। বিশুদ্ধ বাতাসে শ্বাস নেওয়া শুধু শরীর নয়, আত্মার প্রশান্তির জন্য উপকারী তাই নিয়মিত প্রতিদিন ভরে খোলা জায়গায় হাঁটুন ঘরে গাছ লাগান শহরের মাছ ব্যবহার করুন ধুমপান ও পরিবেশ দূষণ এড়িয়ে চলুন সপ্তায় অন্তত একদিন প্রাকৃতির মাঝে সময়কাটান।

বিশুদ্ধ বাতাস হল জীবনের আসল ওষুধ। প্রতিদিন আধুনিক যান্ত্রিক জীবনে আমরা দূষিত বাতাসের শ্বাস নিচ্ছি। কিন্তু যদি আমরা সচেতন হয় এবং প্রতিদিন কিছুটা সময় বিশুদ্ধ বাতাসের কাটায়, তাহলে সরিলও মন দুটোই সুস্থ থাকবে। বিশুদ্ধ বাতাস হল প্রকৃতির উপহার, আর প্রকৃতি হলো সুস্থ জীবনে অমূল্য সম্পদ। 

গ্রামীন পরিবেশ বনাম শহরের পরিবেশ 

মানুষের জীবনধারা সময় পরিবেশের উপর নির্ভরশীল। গ্রামীন পরিবেশ যেখানে প্রকৃতি,শান্ত, বিশুদ্ধ বাতাস ও সুস্থ জীবনের প্রতীক, সেখানে শহর পরিবেশ হলো ব্যস্ততা, উন্নত সুযোগ-সুবিধা, আধুনিক প্রযুক্তি ও দ্রুত জীবন যাত্রার প্রতিচ্ছবি। গ্রামীন পরিবেশ মানে খোলা আকাশ, সবুজ মাঠ, নদী, গাছপালা আরও পাখির কোলাহল ইত্যাদি। এখানে আমরা পরিশ্রম, সহজ -সরল এবং প্রকৃতিক জীবনের সাথে সংযুক্ত থাকে। গ্রামীন জীবনের বিশেষ দিক হলো :বিশুদ্ধ বাতাস পানি, তাজা খাবার ও মৌসুমী ফলমূল, মানসিক শান্তি ও নিরিবিলি পরিবেশ, পারিবারিক সম্পর্ক দীর্ঘ ও রোগ বালাই কম, শারীরিক পরিশ্রম বেশি তবে এর অসুবিধা হলো -চিকিৎসা, শিক্ষা ও চাকরির সুযোগ কম। অন্যদিকে শহরের পরিবেশ আধুনিক জীবনের প্রতিচ্ছবি। শহর মানে কর্মব্যবস্থা, প্রযুক্তি, চাকরি, ব্যবসা, এবং বিলাসিতা ও উন্নত সুযোগ-সুবিধা। এখানে মানুষের জীবন দ্রুত এবং প্রতিযোগিতামূলক। শহরের জীবনে বিশেষ দিক হলো :উন্নত চিকিৎসা তা ব্যবস্থা, চাকরি ও ব্যবসার সুযোগ বেশি, আধুনিক প্রযুক্তি ও যোগাযোগ ব্যবস্থা, বিনোদন ও বিলাসিতা বেশি জীবনযাত্রা হয়।

বিষয় গ্রামীণ পরিবেশ শহরের পরিবেশ
বাতাস ও পরিবেশ বিশুদ্ধ ও দূষণমুক্ত দূষণ, ধোঁয়া ও শব্দদূষণ
খাবার প্রাকৃতিক, তাজা, জৈব খাবার প্রক্রিয়াজাত ও ফাস্ট ফুড
স্বাস্থ্য রোগ কম, শারীরিক শ্রম বেশি রোগ বেশি, মানসিক চাপ প্রবল
শিক্ষা সীমিত সুযোগ উন্নত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান
চাকরি/কর্মসংস্থান কৃষি ও গ্রামীণ পেশা চাকরি, ব্যবসা ও প্রযুক্তি
সম্পর্ক আন্তরিক, পরিবারকেন্দ্রিক ব্যস্ততা, সম্পর্কের দূরত্ব
জীবনযাত্রা সহজ-সরল, শান্তিপূর্ণ বিলাসী, প্রতিযোগিতামূলক
নিরাপত্তা অপরাধ কম, নিরাপদ অপরাধ প্রবণতা তুলনামূলক বেশি
মানসিক অবস্থা মানসিক শান্তি, প্রকৃতির সান্নিধ্য মানসিক চাপ, ক্লান্তি ও একাকীত্ব

পানি ও প্রকৃতি পানি 

আমাদের দৈনন্দিন জীবনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এবং প্রয়োজনীয় উপাদান হলো পানি। পানি ছাড়া জীবন কল্পনা করা যায় না। কিন্তু শুধু পানি নয়, প্রকৃতির উপহার হিসেবে আমরা পায় নানা ধরনের প্রাকৃতিক পানি, যা শরীরকে শুধু সতেজ করে না বরং ভেতর থেকে সুস্থ রাখে। আধুনিক যুগে বাজারে কেমিকাল যুক্ত সব ড্রিঙ্কস ভিড়ে এ প্রাকৃতিক পানিগুলো আমাদের সুস্থতার জন্য সবচেয়ে কার্যকর। পানি হল জীবনের মূল ভিত্তি। আমাদের শরীরে পাই ৭০ পার্সেন্ট পানি দিয়ে গঠিত। প্রতিদিন পর্যাপ্ত পানি না খেলে শরীরের পানি শূন্যতা তৈরি হয়, যার ফলে ক্লান্তি, মাথা ব্যথা, কষ্টি কাঠিন্য,কিন্নির সমস্যায় ইত্যাদি দেখা দেয়। প্রকৃতিক পানি হল এসব পানীয় যা সরাসরি প্রাকৃতিক থেকে পাওয়া যায় বা কোন রাসায়নিক প্রক্রিয়া ছাড়া তৈরি করা হয়। যেমন -নারকেলের পানি, ফলের রস, লেবুর শরবত, ডাবের পানি, আখের রস, মধুর পানি  ইত্যাদি। এগুলো ভিটামিন, মিনারেল, অ্যান্টিঅক্সাইডেন্ট থাকে যা শরীরকে সুস্থ রাখে। মানবদেহে সাধারণত প্রতিদিন ২-৩লেটার পানি পান করা জরুরি। গরম বা শারীরিক পরিশ্রমের সময় পরিমাণ আরো বাড়াতে হয়। প্রতিদিন ডায়েট অত্যন্ত একটি প্রকৃতিক পানীয় রাখা ভালো। 
পানীয় প্রাকৃতিক পানি আমাদের জীবনে অপরিহার্য অংশ। কৃত্রিম ও কেমিকাল যুক্ত সব ড্রিংকসর পরিবর্তে যদি আমরা ডাবের পানি, লেবুর পানি, আখের রস, বাফলের রসকে অগ্রাধিকার দিই, তাহলে শরীর থাকবে সাথে সুস্থ ও দীর্ঘয়ু হবে জীবন। মনে রাখবেন সুস্থ জীবনের রহস্য লুকিয়ে আছে প্রকৃতির কাছে। 

Secret Health Tips

 স্বাস্থ্যই সর্বশ্রেষ্ঠ সম্পদ। কিন্তু অনেকেই জানে না, সুস্থ থাকা অনেক গোপন টিপস আছে, যা মেনে চললে সহজে শরীরে থাকবে ফিট, মন থাকবে প্রফুল্ল, আজ জীবন হবে শক্তিতে ভরপুর চলুন জেনে নেওয়া যাক সিকিউরিটি টিপস  খাবার আগে এক গ্লাস পানি পান করুন এটি খুব সহজে টিপস হলেও অত্যন্ত কার্যকর খাবার আগে এক গ্লাস পানি খেলে সহজে হজম হয় অযথা বেশি খাওয়ার প্রবণতা বাড়ে   ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে।নিয়মিত সকালে সূর্যের আলো গ্রহন করুন।সকালে সূর্যের আলো আমাদের শরীরের ভিটামিন ডি উৎপন্ন করে সাহায্য করে। এতে হাড়কের শক্তিশালী করে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং মনকে সতেজ রাখে। প্রতিদিন নিয়মিত কমপক্ষে 10 মিনিট মেডিটেশন করুন এতে মানসিক চাপ ও দুশ্চিন্তা কমাতে মেডিটেশনের বিকল্প নেই। প্রতিদিন কিছুক্ষণ নীরবে বসে গভীর শ্বাস প্রশ্বাস নিলে - মানসিক প্রশান্তি আসে, ঘুম ভালো হয় এবং মনোযোগ বাড়ে।  

আরো পড়ুন :আরবি মাসের ক্যালেন্ডার ২০২৬ -আরবি 

মৌসুমী ফলের উপকারিতা 

বাংলাদেশ একটি সমৃদ্ধ দেশ যেখানে সারা বছর নানা ধরনের মৌসুমে ফল পাওয়া যায়। প্রতিটি মৌসুমে ফলে রয়েছে আলাদা স্বাদ, সুগন্ধ ও পুষ্টিগুণ। শুধু স্বাধীন নয়, বরং এ ফলগুলো শরীরকে সুস্থ রাখে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় প্রাকৃতিক ভিটামিন ও খনিজ সরবরাহ করে থাকে। মৌসুমী ফল আমাদের দেহের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। অনেকে বাজারে সারা বছর ফ্রিজে রাখা বা কেমিক্যাল মিশ্রিত ফল কিনে খান। অথচপ্রকৃতি আমাদেরকে প্রতিটি ঋতুতে বিশেষ ফল দিয়েছে, যার সেই সময়ের জন্য চাহিদা পূরণ করে যেমন:গ্রীষ্মকালে তরমুজ, লিচু, এগুলো শরীরকে ঠান্ডা রাখে এবং ভিটামিন সমৃদ্ধ চোখ ও ত্বকের জন্য ভালো।দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং ক্লান্তি দূর করে থাকে। বর্ষাকালে জাম, কাঁঠাল, আতা এগুলো দেহের রক্ত পরিষ্কার করে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করে  শারীরিক শক্তি যোগায় এবং হজম সহায়তা করে এবং পেটের সমস্যা সমাধানে সাহায্য করে।শীতকালে কমলা, পেয়ারা এবং খেজুর এগুলো দেহের ভিটামিন সমৃদ্ধ করে কাশি প্রতিরোধ করে হজম শক্তি বাড়ায় দাঁতম মজবুত করে শরীর গরম রাখে ও শক্তি সরবরাহ করে থাকে। 
মৌসুমী ফল কেবল খাবার নয়, বরং প্রকৃতির এক অন্যান্য উপহার। নিয়মিত মৌসুমী ফল খেলে শরীর থাকবে ফিট মন থাকবে সতেজ।নিয়মিত মৌসুমী ফল খেলে রোগ দেহের  প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।প্রতিটি মৌসুমী ফল আমাদের দেহের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। 

গ্রামের মানুষ কিভাবে স্বাস্থ্য ধরে রাখে-এর শেষ কথা  

আজকের যুগে শহরের কোলাহল, ফাস্টফুড, দৌড় ঝাপের মধ্যে আমরা অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েছি। অথচ গ্রামের মানুষ তুলনামূলকভাবে অনেক বেশি সুস্থ, শক্তিশালী ও দীর্ঘ আয়ু হয়। গ্রামের মানুষ তারা কিভাবে স্বাস্থ্য ধরে রাখতে পারে তাদের স্বীকৃতি টিপস। গ্রামের মানুষরা প্রকৃতির সাথে দিন কাটায়। তারা সকলে সূর্যের আলো ওঠে, খোলা আকাশের নিচে কাজ করে আর বিশুদ্ধ বাতাসের শ্বাস নাই। এ কারণে তাদের শরীরের অক্সিজেনের মাত্রা বেশি থাকে এবং মানসিক চাপও কম হয়। গ্রামের মানুষের খাবার মানে নিজেদের উৎপাদিত শাকসবজি, ফলমূল,দুধ, মাছও ডাল। তারা বাজারে রাসায়নিক মিশানো খাবার ব্যবহার কম করে ফলে তারা শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় ভিটামিন, মিনারেল ও ফাইবার পর্যাপ্ত পরিমাণে পাই। গ্রামের মানুষের স্বাস্থ্য রক্ষার রহস্য খুব সহজেই -প্রকৃতির সাথে মিল রেখে জীবন যাপন করে। তারা কৃত্তিম খাবার, অতিরিক্ত মানসিক চাপ অস্বাভাবিক রুটিন থেকে দূরে থাকে।তারা খালি পায়ে হাটে, প্রকৃতি খাবার খায়, বিশুদ্ধ পানি পান করে, নিয়মিত শারীরিক পরিশ্রম করে, পর্যাপ্ত ঘুমায় ও সামাজিক সম্প্রীতি এসব হলো তাদের সুস্থতার গোপন মন্ত্র।আমরা যদি শহর থেকেও এ গ্রামীন জীবনধারা secret tips কিছু অনুসরণ করি, তবে আমাদের জীবনে অনেক বেশি সুস্থ ও সতেজ ও সুখী হতে পারে। আমাদের প্রত্যেকের মনে রাখতে হবে সুস্থ টাকা দিয়ে কেনা যায় না, বরং জীবন যাত্রা সঠিক অভ্যাস এর তৈরি করলে পাওয়া যায়। 



  

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আপনার মতামত লিখে জানিয়ে দিন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url